ভালোবাসি তাই...

ভালোবাসা / ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারী ২০১৫)

সানি
অন্যদিন রাত ১১টায় ঘরটায় আলো জ্বালানো থাকে আজ নেই। সুন্দর ভাবে গোছানো ঘরটা বাইরের ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় মোটামুটি স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। একটি বেড তার পাশেই কাঠের ডিজাইন করা আলমারি পূর্বদিকে রয়েছে ঘরে ঢোকার দরজা আর একটি বইএর সেলফ। উত্তরে পড়ার টেবিল আর একটি মিডিয়াম সাইজের সোকেস যার উপর সুন্দর একটি মিউজিক সেট। দক্ষিনে বারান্দা। দক্ষিনের হাওয়ার এলোমেলো দোল খেয়ে যাচ্ছে বারান্দা যাবার দরজার গোলাপী রঙের পর্দাটি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় বাড়িটার সামনের সুন্দর পরিষ্কার রাস্তাটা। রাত ১১টায় একদম ফাকা থাকে এই রাস্তাটি। আজ এই ফাকা রাস্তাটির দিকেই কেন জানি আনমনে তাকিয়ে আছে ফারিহা। আগে কখনো সে এভাবে এই রাস্তার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকেনি আজ সে এই সময়টায় ফাকা রাস্তায় তাকিয়ে অনুভব করছে সেও যেন এই একা রাস্তার মতই একা। হঠাত বারান্দার গ্রিল ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে ভেতরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে কাদতে লাগলো সে। তার মনে হলো অনেকদিন আগে ইমন বলেছিল সে যেন কোনোদিন কান্না না করে। অনেক কষ্ট পেলেও যেন সে কান্না না করে। ইমন বলেছিল তুই কাদলে আমার অনেক খারাপ লাগবে তুই প্লিজ কখনও কান্না করবিনা। সেদিনের পর থেকেই সে ইমন কে অল্প অল্প করে ভালোবাসতে শুরু করেছে। এখন তার ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র কমতি নেই অথচ সে ইমনকে কথাটা বলার সাহস করেনি কখনও। ইমনের ব্যাবহার দেখে মনে করেছে ইমন হয়ত তাকে ভালোবাসে। কিন্তু আজ ইমন কিভাবে তাকে বলতে পারলো সে অন্য এক মেয়ে স্নিগ্ধাকে ভালোবাসে?? ভালোবাসা দিবসে ইমন স্নিগ্ধাকে প্রোপোজ করতে চায় অথচ কিভাবে প্রোপোজ করবে সেটার প্লান করতে চায় ফারিহা কে নিয়ে। আজ ইমনের মুখে এ কথাটা শোনার পর পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে ফারিহা। যতবার ইমনের সাথে কাটানো স্মৃতি তার চোখে ভেসে উঠছে ততবারিই সেই স্মৃতিকে ঘোলাটে করে অশ্রু ঝরেছে। ভালোবাসা দিবসের আর তিনদিন বাকি আছে। এর মধ্যেই ইমন ফারিহাকে একটা সুন্দর প্রোপজাল প্লান করতে বলেছে। কথাগুলো ফারিহার সহ্যসীমার বাইরে তবুও ইমন যখন কথাগুলো বলছিল তখন সে একটুও ইমনকে বুঝতে দেয়নি যে সে তখন কাঁদছিল। যে ইমন একসময় তাকে কান্না করতে নিষেধ করেছে সেই আজ তাকে কাঁদিয়েছে তবুও সে স্বাভাবিক কন্ঠে জবাব দিয়েছে কাল দেখা করে একটা সুন্দর প্লান করা হবে বলে লাইন কেটে দিয়ে অঝরে কেঁদেছে। আজ রাতে তার ঘুম হবে কিনা সে জানেনা কিন্তু তাকে ঘুমোতে হবে কাল সকালে তা নাহলে সময়মত সে যেতে পারবেনা। বিছানা থেকে উঠে সে মেডিসিন বক্সে খুজতে লাগলো কোনো ঘুমের ট্যাবলেট আছে কিনা। কিছুক্ষন খোজার পর কোনো ঘুমের ট্যাবলেট না পেয়ে নিরাশ হয়েই জোর করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরল বিছানায়। দক্ষিনের দরজাটা খোলাই থাকলো। তখনো বাতাসে দুলছিল গোলাপী পর্দাটা।


পরদিন সকালে পার্কে যেতে ইচ্ছা করেই দেরি করছিল ফারিহা। ইমন সবসময়ই লেট করে আসে কিন্তু ফারিহা সব সময় ফিক্সড টাইমের আগেই আসতো যেন ইমন কে অপেক্ষা করতে না হয়। আজ কেন জানি আর ইমনের জন্য আগে যেতে মন চাইছেনা তার। তার আসলে আজ যেতেই মন চাইছেনা। সে ইমনের কথা চিন্তা করে হঠাতই কান্না করছে ইমন কে দেখে কিভাবে নিজেকে কন্ট্রল করবে সে। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল কোনো ভাবেই সে ইমনের সামনে কাদবেনা। এসব ভাবতে ভাবতেই সে পার্কে চলে এল। আজ সে লেট করে এসেছে তবুও ইমন এখনও আসেনি। সে তাদের পছন্দের ওই গোলাপ বাগানের সামনের সিটে গিয়ে বসে পরল। তারা বেশিরভাগ সময়েই ওখানে বসে। সকালে পার্কে সাধারনত বেশি মানুষ আসেনা। বয়স্করাই বেশি আসে কিন্তু বিকেলে অনেক তরুন তরুনী পার্কে আসে। অনেকেই এই গোলাপ বাগানের পেছনের সিটগুলোতে বসে। ফারিহাও অনেক স্বপ্ন দেখেছে সে ইমনের সাথে বাগানের পেছনের সিটগুলোতে বসবে কিন্তু তার ইমনকে নিয়ে দেখা সব স্বপ্ন আজ শেষ হয়ে গেছে। স্নিগ্ধাকে সে অনেক কমই দেখেছে আর ইমনের সাথে কখনই বেশি দেখেনি। ইমন বেশিরভাগ সময়েই তার সাথেই থাকত অথচ ইমন কিভাবে যে স্নিগ্ধাকে ভালোবাসল সেটা সেই ভালো জানে। ভালোবাসা আজব এক জিনিস এটা কখন কার ওপর কেন সৃষ্টি হয় তা কেউ বলতে পারেনা। কারও প্রথম দেখাতে সৃষ্টি হয় আবার কারও দেখতে দেখতে ভালোবাসা হয়ে যায়। অনেকেই বলে টাকার কারনে ভালোবাসা হয় এটা সম্পূর্ন ভুল একটা কথা। ওগুলোকে নাটক বলে ভালোবাসা বলেনা। ভালোবাসা হয় মনের কারনে টাকার কারনে নয়।
হঠাত ফোন বেজে উঠল ফারিহার। ইমন কল করেছে।
কিরে তুই কোথায় দোস্ত?
স্বাভাবিক গলায় ফারিহা জবাব দিল পার্কে বসে আছি তোর জন্য।
দোস্ত সরিরে আজ আসতে পারবোনা কিছু মনে করিসনা স্নিগ্ধা আর্জেন্টলি ডেকেছে যেতেই হবে। তুইতো বুঝছিস আমার অবস্থাটা প্লিজ কিছু মনে করিসনা পরে কথা হবে বাই।
ফারিহাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই লাইনটি কেটে দিল ইমন।
ফোনটা ব্যাগে রেখে একমনে গোলাপ বাগানের দিকে তাকিয়ে থাকলো ফারিহা। তার গাল ভিজে যাচ্ছে হাত দিয়ে একবার মোছার পরও অনুভব করলো ক্রমাগত তার অশ্রু ঝরছে অথচ সে কাঁদছেনা সে কাঁদতে চায়না। দ্রুত সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলো। রাস্তায় ফার্মেসী থেকে একপাতা ঘুমের ঔষধ কিনে নিল সে। গতরাতে অনেক কষ্টে ঘুমিয়েছে সে। এখন হয়তো ঘুমের ট্যাবলেটই তার কষ্টটা বুঝবে। শান্তিতে ঘুমোতে দেবে তাকে।


আজ রাতেও ফারিহার ঘরে আলো জ্বালানো নেই। দক্ষিনের দরজা খোলা। দখিনা হাওয়ায় দুলছে গোলাপী পর্দা। বারান্দায় দারিয়ে ফাকা রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে ফারিহা। একটু আগে ফোন করেছিল ইমন। প্রথমেই ইমন জিজ্ঞেস করেছে সারাদিন সে কি কি করেছে। ফারিহা সত্যি কথাটাই বলেছিল “সারাদিন তোর কথা ভেবেছি” ইমন তখন বলেছে তকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দোস্ত বের করতে পারলি কোনো সুন্দর আইডিয়া প্রোপোজ করার? ফারিহা জবাব দিয়েছে আমি তোর প্রোপোজাল প্লান না শুধু তোর কথা ভেবেছি। স্নিগ্ধার সাথে তোর রিলেশন হয়ে গেলে তুই আমাকে ভুলে যাবি তাইনা?? সারাদিন তুই স্নিগ্ধার সাথে থাকবি আর আমার মত ফ্রেন্ডের জন্য তোর কোনো সময়ই থাকবেনা। এসব শুনে অনেকটা অবাক হয়েছিল ইমন জিজ্ঞেস করেছে তোর কি হয়েছেরে ফারিহা? ফারিহা বলেছে কিছুনা। একটা সুন্দর প্লান করেছি। প্লানটায় তোর খরচ কিন্তু বেশি হবে।
সাথে সাথেই ইমন বলেছে খরচের চিন্তা তোকে করতে হবেনা তোর প্লান সুন্দর হলেই হবে এক কথায় স্নিগ্ধা যেন খুশি হয় অনেক।
আচ্ছা ঠিক আছে কাল তোকে সব বলব কোথায় দেখা হবে বল?
কাল তুই আমার বাসায় চলে আয়।
ফারিহা জবাব দিয়েছিল না তোর বাসায়না অন্য কোনো জায়গায় কিন্তু ইমন অনেক জেদ করায় ইমনের বাসায় দেখা করার কথাই ফিক্স করে লাইন কেটে দিয়েছে।
বারান্দা ছেরে ঘরের ভেতরে গেল সে। হালকা ভলিউমে তাহসানের ভালোবাসি গানটা ছাড়ল। গানটা তার অনেক প্রিয়। গানটা যখন প্রথমবার সে শুনেছিল তখন কল্পনায় ভেবেছিল ইমন তার দিকে তাকিয়ে একটা তারহীন মাইক নিয়ে দাড়িয়ে গান গাইছে “চিৎকার করে বলতে চাই তোমায় আমি ভালোবাসি শুধু তোমায় ভালোবাসি এখনো শুধু তোমায় ভালোবাসি...”


পরেরদিন ফারিহা গেল ইমনের বাসায়। ভেতরে যেতেই ইমনের মায়ের সাথে দেখা হলো ফারিহার। হাসিমুখে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করল ইমন কোথায় আন্টি? ইমনের মা বললেন ছাদে বসে আছে। বলেছে তুমি আসলে যেন তোমাকে ছাদে পাঠিয়ে দেই। আচ্ছা আন্টি আমি তাহলে ছাদে গেলাম বলে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেল ফারিহা। এই ছাদে অনেকবার এসেছে ফারিহা। ছাদটা তার অনেক পছন্দের। সামনের দিকে গাছগাছালি আর পেছনের দিকে একটা বিল্ডিং থাকায় দুপুর বেলায়ও ছাদে ছায়া থাকে। একটা শিশুগাছ অনেকটা এগিয়ে এসেছে ছাদের দিকে। তারই নিচে কয়েকটা ইট দিয়ে বসার জন্য দুটি সিট বানিয়েছিল ইমন সেখানেই বসে তারা অনেক গল্প করতো। তারই একটা সিটে বসে ইমন কার সাথে ফোনে কথা বলছে। ফারিহা গিয়ে অন্য সিটটায় বসল। ইমন একবার দেখল ফারিহার দিকে। একটু হেসে আবার ফোনে কথা বলতে লাগল... না না এটা তুমি কি বলছো? আমি এরকম কথা কখনই চিন্তা করবনা তুমি সোয়েবকে বলে দেখ আমি এটা কখনই করিনি। হুম আচ্ছা ঠিক আছে পরে কথা হবে এখন রাখি। হাহাহাহা আচ্ছা তারাতারিই জানাবো তোমাকেই আগে জানাবো ঠিক আছে?? ওকে বাই। ফোনটা রেখে ফারিহাকে জিজ্ঞেস করল কেমন আছিস? ফারিহা এটার জবাব না দিয়ে জিজ্ঞেস করল কার সাথে কথা বলছিলি? ইমন বলল স্নিগ্ধার সাথে। ফারিহা বলল ও আচ্ছা। আর কিছু বলতে পারলনা ফারিহা। ইমন জিজ্ঞেস করল কি প্লান করেছিস বল।
ফারিহা তার প্লান বলতে শুরু করল... প্রোপোজটা করবি তুই ১৪তারিখ সন্ধায়। স্টার্ট আপ রেস্টুরেন্টে। তুই স্নিগ্ধার জন্য একটা টেবিল বুক করে রাখবি। টেবিলটা অবশ্যই রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন দেখানোর বড় মনিটরটার সামনে হতে হবে। তুই মনিটরটা ভাড়া করবি ১০ মিনিটের জন্য। আর তুই স্নিগ্ধার অনেক ছবি ডাউনলোড করবি এবং সেটা দিয়ে একটা সুন্দর স্লাইড শো বানাবি প্রত্যেকটা ছবির নিচে কিছু রোমান্টিক কথা এবং স্নিগ্ধার সাথে কাটানো কিছু স্মৃতির কথা লেখবি। মিউজিকে স্নিগ্ধার পছন্দের কোনো একটা লাভ রিলেটেড গান এড করে দিবি। তারপর ভিডিওটা শেষ হলে তুই এসে ফিল্মি স্টাইলে প্রোপোজ করবি স্নিগ্ধাকে। আর এসব করতে অথরিটি তোকে অনেক হেল্প করবে কারন এতে তাদের রেস্টুরেন্টের পপুলারিটি বাড়বে এবং পরে তারা এরকম সুব্যাবস্থা করে ব্যাবসা করতে পারবে।
ইমন একমনে কথাগুলো শুনে যাচ্ছিল এবার বলল প্লানটা অসাম কিন্তু খরচের তো ১২টা বেজে যাবে দেখতেছি। ফারিহা বলল বন্ধুদের নিয়ে দশ হাজার টাকা খরচ করে পার্টি দিতে পারিস আর নিজের ভালোবাসার জন্য একদিন খরচ করবিনা?? আর এখন সবকিছুই আপডেট। তুই পুরনো স্টাইলে প্রোপোজ করলে এত সহজে কি কেউ তোর প্রোপোজাল গ্রহন করবে??
কিন্তু আমিযে ভিডিও বানাইতে পারিনা এটা কি করবো?
এবার সামান্য রাগের মত করে ফারিহা বলল এটার জন্য কোনো একটা স্টুডিওতে যাবি অথবা সোয়েবের কাছে যাবি ও ভালো ভিডিও বানাইতে পারে। একদম মনের মতো ভিডিও বানিয়ে নিবি ওর কাছ থেকে। আর সোয়েবের সাথেও তো স্নিগ্ধার ফ্রেন্ডশীপটা ভালো আছে। ও আরও ভালো ভাবে হেল্প করতে পারবে ভিডিওটা বানাইতে।
খুশি হলো ইমন। বলল কালকের মধ্যে এতকিছু কিভাবে করবো রে তুই থাক আমার সাথে। ফারিহা বলল না আমি থাকতে পারব না আমার আজ অনেক কাজ আছে। ইমন বলল কোনো কাজ টাজ বুঝিনা তোকে থাকতেই হবে। এবার ধমক দিয়ে ফারিহা বলল না আমার যেতে হবে তোর কি একাই কাজ থাকে?? আর মানুষের কাজ নাই??
ধমকটা শুনে কিছুক্ষন ফারিহার দিকে তাকিয়ে থেকে ইমন বলল আচ্ছা ঠিক আছে তোর থাকা লাগবেনা কিন্তু কাল রেস্টুরেন্টে সময় মতো চলে আসবি। ফারিহা বলল না কালকেও আসতে পারবো না কাল অনেক কাজ আছে। ইমন বলল ভালোবাসা দিবসে তোর কি এমন কাজ থাকে যে আমার এরকম একটা সময়ে তুই থাকবিনা??
ইমন ফারিহার হাতটা তার দুহাতে ধরে বলল প্লিজ কাল তুই অবশ্যই থাকবি তা না হলে আমি স্নিগ্ধাকে প্রোপোজ করার সাহস পাবোনা। ইমন ফারিহার হাত অনেকবার ধরেছে কখনো এরকম ফিল করেনি ফারিহা। আজ ইমন তার হাত ধরায় মনে হচ্ছে অচেনা কোনো পুরুষ তার হাত ধরেছে। সে ইমন কে হাজারটা মুহুর্ত ধরে চিনলেও আজ তাকে অচেনা একজন মনে হচ্ছে। ভেতর থেকে কান্না আসছে ফারিহার। বুঝতে পারছে আর একটু হলে সে তার কান্না আটকাতে পারবেনা। সে টান দিয়ে তার হাতটা সরিয়ে নিয়ে পেছনের ঘুরে তাকালো। ইমন বলল প্লিজ আমার জন্য হলেও কাল আসবি। এখন সোয়েবের বাসায় যাবো। গাড়ি বের করতেছি তুই নিচে গিয়ে দাড়া তোকে তোর বাসায় নামিয়ে দিয়ে যাবো। ফারিহা কিছু না বলে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল। ইমন দাড়িয়ে তার নিচে যাওয়া দেখল কিছুক্ষন তারপর সেও নেমে গেল গাড়ি বের করার জন্য।



১৪ই ফেব্রুয়ারি। সারাদিনে কতবার ফারিহা কেঁদেছে সে হয়তো নিজেই বলতে পারবেনা। নিজের মনের ভেতর সে স্বপ্ন একে রেখেছিল ইমন যেভাবে তাকে প্রোপোজ করবে তা আজ সবই সে নিজেই স্নিগ্ধার জন্য পার করে দিল। ভালোবাসার আরেক নাম যে ত্যাগ এটা আজ ফারিহা ভালোভাবে বুঝতে পারছে। ইমন বলেছে তাকে রেস্টুরেন্টে যেতে। সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে কিভাবে তার স্বপ্নটা অন্য জনের বাস্তবে রুপান্তরিত হচ্ছে!! এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না। সারাদিন ফোন অফ করে রেখেছে সে। দুরাতে দুটা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছে সে। আছে আর দশটা। টেবিলের ড্রয়ার খুলে ট্যাবলেট এর পাতাটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন একমনে তাকিয়ে থাকলো ওটার দিকে। তারপর সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিল সে। একবারে সবকটা ট্যাবলেট খেয়ে ফেলবে সে। আত্নহত্যা করতে চায়না সে। কয়েকদিন শান্তি মতো ঘুমোতে চায়। ট্যাবলেট গুলো মোটেও পাওয়ারফুল নয় কারন ট্যাবলেট খাওয়ার পরেও অনেক কষ্টে ঘুমোতে হয়েছে তাকে। গ্লাসে পানি নিয়ে সব কটা ট্যাবলেট সে হাতে নিয়েছে এমন সময় তার দরজায় নক করে তার মা, ফারিহা বিকেল বেলা দরজা লাগিয়ে দিয়েছিস কেন দরজা খোল সোয়েব এসেছে তোর সাথে দেখা করতে। অবাক হলো ফারিহা। সোয়েব কখনো তার বাসায় আসেনি বাইরে থেকেই চলে গেছে অনেকবার। ট্যাবলেট গুলো বালিশের নিচে রেখে চোখ মুছে দরজা খুলল ফারিহা। সোয়েব বলল কি ব্যাপার ঘুমাচ্ছিস কেন?? তারাতারি রেডি হয়ে নে ইমন তোকে সাথে নিয়ে যেতে বলেছে তোর ফোন সারাদিন অফ ছিল কেন ইমন অনেক টেনশন করেছে এ জন্য। ইমন তার জন্য টেনশন করেছে এটা শুনে তারকাছে জোকস মনে হলো। হাসল সে। বলল মাথা খুব ব্যাথা করছে তুই যা আমি যেতে পারবনা ইমন কে আমার সরি বলেদিস। সোয়েব বলল ইমন বলেছে তুই না গেলে নাকি সে স্নিগ্ধাকে প্রোপোজ করবেনা। ফারিহা বলল এটা তার ব্যাপার আমি যেতে পারব না। অনেক চেষ্টা করেও সোয়েব ফারিহাকে রাজি না করাতে পেরে বলল ইমন অনেক কষ্ট পাবে রে। থাক তাহলে গেলাম। চলে যাচ্ছিল সোয়েব এমন সময় ফারিহা বলল আচ্ছা তুই বস আমি রেডি হয়ে আসছি। ফারিহা রেডি হয়ে এলে তাকে নিয়ে বের হল সোয়েব। ড্রাইভার আজ ছুটি নিয়েছে। তাই সোয়েব সিএনজিতে এসেছিল সেটাতে করেই যাচ্ছে তারা। কেউ কোনো কথা বলছেনা। সোয়েব বলল তুই কাদছিস কেন?? ফারিহা চমকে গেল বলল কই কাদছিনা তো।
সোয়েব বলল তাহলে তোর চোখে পানি কেন??
ফারিহা সাথে সাথে হাত দিয়ে দেখল তার চোখের নিচে গাল ভিজে গেছে। কখন যে সে নিরবে অশ্রু ঝরিয়েছে তা সে বুঝতেই পারেনি। অল্প সময়ে সে এত কেঁদেছে যে কখন সে কাদছে তা বুঝতে পারছেনা এখন। দুপুরে খাবার সময় তার মা বলেছিল কিরে কাদছিস কেন। ফারিহা বলেছিল তরকারিতে কি কেউ এত ঝাল দেয়?? বুয়া কে বলে দেবে ঝাল কম দিতে।
সোয়েব একটা টিস্যু পেপার বের করে দিল ফারিহাকে। বলল তুই ইমন কে ভালোবাসিস তাইনা? কথাটা শোনার সাথে সাথে অবাক চোখে সোয়েবের দিকে তাকাল ফারিহা। এবার আর পারলোনা নিজেকে সামলাতে। বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টগুলো কান্না হয়ে বের হয়ে আসছে। হাহাকার করে উঠেছে মন। তার কান্নার শব্দে সোয়েব কি করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। কান্না থামাতে পারছেনা ফারিহা। এমন সময় সিএনজি ড্রাইভার সিএনজি থামিয়ে বলল আপা কি হইছে কানতাচেন ক্যান। ফারিহা বলল কিছুনা আপনি চলুন । টিস্যু পেপের দিয়ে চোখটা মুছে নিল ফারিহা। এখন কেন জানি অনেক কঠিন মনে হচ্ছে নিজেকে। সিএনজি ড্রাইভারের কথায় কি এমন ছিল যা তার কান্না থামানোর শক্তি এনে দিল?? সোয়েব বলল নিজেকে কখনো একা ভাববি না। মানুষ কখনই একা থাকেনা যতক্ষন পর্যন্ত সে নিজেকে একা ভাবেনা। তোর বাবা মা আছে ছোট বোনেরা আছে তাদের সাথে থাকবি দেখবি অনেক ভালো লাগবে আর কয়েকদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে। ফারিহা বলল তুই বুঝবিনা আমার কত কষ্ট, যারা ভালোবাসে তারাই জানে ভালোবাসা না পাবার কষ্ট কতটা বেদনাদায়ক। সোয়েব বলল আমিও বুঝি ভালোবাসা না পাওয়ার কষ্টটা। তারপর চুপ করে রাস্তার দিকে তাকালো সে। আর ফারিহা অবাক হয়ে সোয়েবের দিকে তাকিয়ে আছে। জিজ্ঞেস করল তুই কাকে ভালোবেসেছিলি? সোয়েব বলল কাউকে না। ফারিহা শুধু ও বলে আবার চুপ হয়ে গেল।


সিএনজি থেকে নেমে সোয়েব বলল যা তুই ভেতরে ওরা আছে। ফারিহা বলল তুই যাবিনা?? সোয়েব বলল না তুই যা। ফারিহা বলল তাহলে এসেছিস কেন? চল ভেতরে তুইও তো আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড, তুই থাকবিনা কেন? সোয়েব বলল আমি কাকে ভালোবেসেছিলাম জানিস?? ফারিহা জিজ্ঞেস করল কাকে?
সোয়েব বলল স্নিগ্ধাকে!
ফারিহা অবাক হয়ে বলল কি বললি??
সোয়েব বলল যা শুনেছিস ঠিকই শুনেছিস।
ফারিহা বলল ইমনের ভিডিও কি তুই বানিয়ে দিয়েছিস??
সোয়েব বলল হ্যাঁ।
এবার নিচু স্বরে ফারিহা বলল ভিডিও বানাতে খারাপ লাগলোনা তোর??
সোয়েব বলল আমি তোর মতো না যে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেব। আমি আমার নিজের ভালোবাসার জন্য আমার বন্ধুত্বকে ছোট করিনি। যা তুই ভেতরে যা।
ফারিহা সোয়েবকে আর কিছু বললনা। ভেতরের দিকে চলে গেল। ভেতরে মনিটরের সামনের টেবিলে দেখল স্নিগ্ধা আর ইমন বসে আছে। তাকে দেখে দুজনেই একটু হাসল। ইমন বলল কিরে তোর ফোন সারাদিন বন্ধ ছিল কেন? ফারিহা কিছু জবাব দেবার আগেই স্নিগ্ধা বলল সোয়েব কোথায়? ফারিহা বলল চলে গেছে। ভেতরে আসবেনা। স্নিগ্ধা বলল পাগলটা আসলেই বড় পাগল। যাই ওকে নিয়ে আসি না পেলে ওর বাসায় গিয়ে কান ধরে নিয়ে আসব। ফারিহা বলল না তুমি থাকো আমি নিয়ে আসছি। ফারিহা ভাবল স্নিগ্ধা চলে গেলে ইমনের পুরো প্লান নষ্ট হয়ে যাবে। স্নিগ্ধা বলল না আমি যাই। চলে গেল স্নিগ্ধা। ফারিহা ইমনের দিকে তাকিয়ে বলল তুই বস আমি স্নিগ্ধাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি বলে সেও যেতে চাইলে ইমন বলল তোর যেতে হবেনা তুই একটু বস এখানে আমি আসতেছি।
ইমন চলে গেল ফারিহা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই। ফারিহা বসে পরল।
কিছুক্ষন পর হঠাত সামনের মনিটরে ইমন কে দেখে চমকে উঠল ফারিহা। ইমন বলছে ফারিহা নেক্সট কয়েকটা মিনিট হবে আমার জীবনের অন্যতম কয়েকটা মিনিট। আশা করি এই ভিডিওটা তুই মন দিয়ে দেখবি। এরপর মনিটর ব্লাক হয়ে গেল। এবং মাঝখান থেকে সাদা রঙের লেখা ঝাপসা থেকে গাঢ় হয়ে ভেসে উঠছে...
“আমি তখন অনেক ছোট।
প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র ছিলাম।
তখন থেকেই একজন মেয়েকে আমার অনেক ভালো লাগতো।
তারপর হাই স্কুলে উঠেছি।
আমাদের স্কুল চেঞ্জ হয়েছে কিন্তু আমরা একই কোচিং এ পড়েছি।
তখনো আমার মনে হয়েছে আমার ওই মেয়েটাকে অনেক ভালোলাগে।
এরপর কলেজে উঠে বুঝতে পারলাম শুধু ভালো লাগেনা আমি তাকে ভালোও বাসি।
কিন্তু কখনো বলার সাহস পাইনি যদি আমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়...
কিন্তু কয়েকদিন আগে মেয়েটার একটা ডায়েরী চুরি করে পড়েছি।
সেখানে লেখা ছিল সে কল্পনা করেছিল কোনো একদিন আমি তার সামনে দাঁড়িয়ে একটা তারহীন মাইক নিয়ে তার পছন্দের গান গাইব “ভালোবাসি শুধু তোমায় ভালোবাসি” গানটা।
জানতে চাস মেয়েটা কে??
......
......
......
তারপর মনিটরে ফারিহার ছবি ভেসে উঠল। একেরপর এক ফারিহার ছবি ভাসতে শুরু করল।
ভিডিওটা শুরু হবার কিছুক্ষন পর থেকেই কাঁদতে শুরু করেছিল ফারিহা। কিন্তু যখন মনিটরে তার ছবি ভেসে উঠল তখন এতটাই সারপ্রাইজড হয়েছে যে কান্নাও থেমে গেছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মনিটরের দিকে সেখানে তার ছবি। ইমন তাকে ভালোবাসে। তার ভালোবাসা সত্যি হয়েছে। আনন্দে আত্নহারা হয়ে নাচতে ইচ্ছা করছে। সে পেয়ে গেছে ইমনকে এটা ভাবতেই সে হাসতে শুরু করল। কান্না মিশ্রিত হাসি। আনন্দের কান্না মিশ্রিত হাসি। যে কান্নার মাধ্যমে সকল দুঃখ বেদনা দূর হয়ে যায় সেই কান্না মিশ্রিত হাসি।
চারিদিকে অনেকজন ভিড় হয়ে ভিডিওটা দেখছিল তাদের মাঝে সে ইমন কে খুজতে লাগলো। ভিড়ের ভেতর ইমন ছিলনা কিন্তু সে দেখতে পেল সোয়েব সেখানে দাঁড়িয়ে তার মতই অবাক হয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে। সে সোয়েবকে কিছু বলার আগেই সে ইমনের কন্ঠ শুনতে পেল। সামনের মানুষগুলো সরে গিয়ে ইমনকে দেখার জায়গা করে দিল সেখান থেকে একটা তারহীন মাইক নিয়ে সে গাইছে...
আমার এই আধার, আমার কবিতা
সময়ের পাতায় যা লিখে চলি,
ছিল সবি তোমারি , আছে আজো তোমার
আধারের নির্জনতায়
এই নিঝুম রাতে একা আমি জানালার
পাশে দাড়িয়ে,
চিৎকার করে বলতে চাই তোমায় আমি,
ভালোবাসি
শুধু তোমায় ভালোবাসি
এ . . এখনো
শুধু তোমায় ভালোবাসি
গানটা এবার থামিয়ে সে একটি গোলাপ নিয়ে ফারিহার সামনে এসে হিটু ভাজ করে ফিল্মি স্টাইলে বসে এক হাতে গোলাপটা এগিয়ে দিয়ে বলল ভালো করে দেখ এটা তোরই বাগানের গোলাপ। এই গোলাপকে সাক্ষী রেখে বলছি তোকে আমি অনেক ভালোবাসি তুই কি ভালোবাসবি আমাকে??
ফারিহা এবার হাসি মুখে বলল বাসতে পারি যদি তুই আমাকে এখন থেকে তুই না বলে তুমি করে কথা বলিস।
কথাটা শোনার পর ইমন উঠে দাড়াল, বলল ইসস ভালোবাসবিনা তাইনা?? যা তোকে ভালোবাসতে হবেনা। তারপর চলে যেতে লাগল। ফারিহা হাসতে হাসতে ছুটে গিয়ে ইমনের হাত থেকে গোলাপ টা নিয়ে বলল আরে গাধা ভালোবাসি আমিও ভালোবাসি অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি। সাথে সাথে সবাই হাততালি দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানাতে লাগল।
সোয়েব এসে ইমন কে বলল শালা তুই ফারিহাকে ভালোবাসিস তাহলে আমাকে দিয়ে স্নিগ্ধার ছবি দিয়ে ভিডিও বানিয়ে নিয়েছিস কেন? ইমন বলল্ দোস্ত আমি ফারিহাকে এটা সারপ্রাইজ দেবার জন্য এই প্লান করেছিলাম ফারিহা জানতো আমি স্নিগ্ধাকে প্রোপোজ করবো আর ফারিহা তোর কাছ থেকে ভিডিও বানিয়ে নিতে বলেছে। আমি যদি তোর কাছে থেকে স্নিগ্ধার ভিডিও না বানিয়ে নিতাম তাহলে ফারিহা তোকে কল করে জানতে চাইলেই ধরা খেয়ে যেতাম। এজন্য তোর কাছে থেকে স্নিগ্ধার ওই ভিডিও বানিয়ে নিয়েছি। আর এই ভিডিওটা স্টুডিও থেকে বানিয়েছি। কিন্তু এতে তুই রেগে যাচ্ছিস কেন?? সোয়েব বলল রেগে যাবোনা তো কি তোকে আদর করবো ইডিয়েট!
সোয়েব জিজ্ঞেস করল স্নিগ্ধা কোথায় গেছে। ফারিহা বলল তোকে খুজতে বাইরে গেছে তোকে না পেলে তোর বাসায় যাবে। সোয়েব বলল গোলাপটা দে। ফারিহা বলল কেন গোলাপ কি করবি??
সোয়েব কিছু না বলেই ফারিহার হাত থেকে গোলাপটা কেড়ে নিয়ে দৌড় দিল।
ইমন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল কি ব্যাপার ও এভাবে গোলাপ নিয়ে কোথায় যায়?
ফারিহা হাসতে হাসতে বলল সোয়েব স্নিগ্ধাকে সারপ্রাইজ দিতে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পবিত্র বিশ্বাস অনেক ভাল লাগলো... শুভ কামনা সাথে আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রণ রইল। ভোটও করলাম।
ভালো লাগেনি ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ অনেকটা সময় নিয়ে তোমার গল্পটা পড়লাম । ফাগুন পেরিয়ে এখন অগ্রহায়নের ভেতর দিয়ে পৌষ মাঘের কুয়শার মাঝে হারিয়ে যাবার বেদনায় কাতর ! অথচ কখনও হৃদয়ের জমা খরচ নিয়ে শিশির বিন্দুর কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়নি । কিন্তু কল্পনার রঙ যে রঙধনুর অহংকারকেও ম্লান করে দিতে পারে, তোমার ভালবাসার গহীন বাসরে না ঢুকলে জানা হ’তো না । খুব ভাল লাগল, তাই ভোটটাও দিয়ে গেলাম ।
ভালো লাগেনি ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
রবিউল ই রুবেন শুভকামনা ও ভালোলাগা স্বরূপ ভোট রেখে গেলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
নাজমুল হাছান joy অনেক ভালে হয়েছে ভোট দিয়ে দিলাম
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
সৃজন শারফিনুল ভালোলাগা রেখে গেলেম।।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
জুন ভালো লিখেছেন। প্রতিটি খন্ডই বেশ সুন্দর গুছানো। ভালো লাগা সাথে ভোট রেখে গেলাম। সময় হলে আমার কবিতাটি পড়বেন।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

২৮ মে - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪